শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০২:১৬ অপরাহ্ন

ভাতিজার প্রেমে চাচী সুর্বনা সুন্দরী এখন রাঁধা

মোঃ এনামুল হক (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ

জামালপুরে সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে কৈডোলা, জাফর শাহী এলাকায়, চাচী- ভাতিজার পরকিয়া প্রেমকাব্য এখন সবার মুখে মুখে। তাদের প্রেম মানেনি সামাজিক কোন বাঁধা, রাতের আঁধারে ভাতিজাকে, বুকে জড়িয়ে চাচি হয়েছিল রাধা। বুকে জড়িয়ে তুলেছিল একাধিক ছবি, বিভিন্ন রিসোর্ট আর পার্কে ঘুরে ঘুরে, বিলিয়ে দিয়েছিল সবই। তাদের ভালোবাসার প্রেম কাহিনী এখন জামালপুর সদরের টপ অব দ্য নিউজ এ পরিণত হয়েছে।

জানা যায় – শাহবাজপুর ইউনিয়নের কৈডোলা এলাকায় জাফর শাহী গ্রামের জাহেদ আলীর ছেলে পারভেজ মিয়া, ২০১৭ সালের ৮ মার্চ পারিবারিক ভাবে বিয়ে করে, বাঁশচড়া ইউনিয়নের জামিরা এলাকার, শফিকুল ইসলামের মেয়ে সুবর্ণা সুন্দরী কে । পারভেজ পেশায় ভ্যান গাড়ি চালক, অতি কষ্টে, জীবিকা নির্বাহ করতো। সেই সুযোগে ভাতিজা ধান ব্যবসায়ী সুলতানের ছেলে কাউসার অর্থের গরমে, সুন্দরী, রূপবতী, গুণবতী চাচী, সুবর্ণাকে বিয়ের প্রবলন দেখিয়ে, অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের পর থেকেই, চাচা বাড়ি না থাকলেই যাওয়া আসা শুরু করে। চাচি ও ভাতিজার মধ্যে তৈরি হয় প্রণয়। তাদের দুজনের মধ্যে ছিল না কোন বিনয়।

পারভেজ আর সুবর্ণার সংসারে রয়েছে ফুটফুটে একটি চার বছরের মেয়ে। মেয়েকে ফেলে ভাতিজার বাইকে চড়ে অজানার উদ্দেশ্যে পারি জমিয়েছে, সবার সামনে দিয়ে। চাচি সুবর্ণা স্থানীয় মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও এনজিও তে করতো কাজ। সেই সুযোগ কে কাজে লাগিয়েই ভাতিজার অর্থের লোভে আপন হয়েছে আজ। ২০২৪ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিকে, স্বামী পারভেজ কে তালাক না দিয়েই, ভাতিজা কাওছার কে করেছে বিয়ে। স্বামীকে দিয়ে সুখ পায় না, তাই সুখে আছে ভাতিজাকে নিয়ে।

কথিত রয়েছে, প্রেম বা পরকিয়া মানে না বয়স, জাত কুল, মানে না কোন বাধাঁ, এলাকাবাসী সহ জামালপুর সদর বাসী, সবার কাছে, তাদের প্রেম বা পরকিয়া, এক অন্য রকম সামাজিক অবক্ষয় পরিণত হয়েছে। যৌথ পরিবারগুলোর মাঝে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। এদিকে ভার্তিজার জন্য এক বুক ভালবাসা নিয়ে সবই করতে পারেন চাচী রাধা।

স্থানীয় এলাকাবাসী নিপুন জাকারিয়াকে জানান- লাইলী মঞ্জুর প্রেমের চেয়ে কোন অংশেই কম নয়, চাচী ভাতিজার অসম বয়সের প্রেম। আচঁলেরও তলে কইরা রজকিনীর মতো, কই মাছ ভাজিয়া ভার্তিজারে খাওয়াছিল কত। সকল কিছু বেদ করিয়া ভার্তিজারে চাই, প্রেম রঙ্গে পরান কান্দে, সন্তান ফেলে চলে আসছেন তাই।

চাচির ভাষ্য, ভাতিজারে বুকে নিয়ে কথা কইছি তাই, কতজনে দেখে আমায় কাছে পেতে চায়। আমি তার রঙ্গে ভাসতে চাই, অন্য কারো নয়। স্বামীকে তালাক না দিয়েই করলেন কেন বিয়ে, মোবাইল ফোনের এমন প্রশ্ন উত্তর দিতে পারেনি চাচি সুবর্ণা। বলেছে ভিগেছি ভাতিজাকে নিয়ে। ভার্তিজারে প্রেম করিয়া, স্বামীর বাড়ি শুনলাম কত অপবাদ, সব কিছু ছেড়ে এবার, ধরছি তার হাত। তাই করেছি বিয়ে।

স্থানীয়রা এর আগে চাচী ভাতির্জাকে নিয়ে জাঁকজমকপূর্ণ বুজানোর চেষ্টা করলেও, তাদের আটকানো যায়নি। স্ত্রীর চলে যাওয়া নিয়ে, জামালপুর সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বামী পারভেজ। বাইকে চড়ে, সবার সামনে দিয়ে, এ সপ্তাহেই, প্রেমের টানে, অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে দুজনে। সাজিয়েছে স্বপ্নের ভালবাসার সোনালী নীড়।

স্থানীয়রা সাংবাদিক নিপুন জাকারিয়াকে আরো জানান- কোলপার ও ভাঞ্জির মোড়ে গোপনে গোপনে চলে তাদের প্রেমের আদান-প্রদান। গোয়ামারি বিলে, শাপলার নীড়ে তাদের প্রেম হয়েছিল শক্ত। তাই সন্তান রেখেই ভাতিজাকেই করেছে পুক্ত।

এদিকে আরেকটি সূত্র হতে জানা যায়, যুবদল নেতা, কাওসারের ছিল, নারী দেহের প্রতি বিশেষ টান, যুবতী রমনীদের সব ভালবাসাকে দূরে ঢেলে, নিয়েছিল চাচীর ভালবাসার সু- গ্লান। অন্য পরকীয়া সঙ্গি যোগাতে যেতে হয়নি দূরে, হাত বাড়ালেই বাড়িতেই পাওয়া যেতো তারে, এভাবেই বেশি বয়সি চাচীর প্রেমে, হাবুডুবু খেয়ে, গোয়ামারি বিলে, ড্রেজারের অথৈয় গর্তে, কত না, সাতাঁর কেটেছে তারা দুজনে। ঘরে এবং বাহিরে গোপনে গোপনে, সাতাঁর কাটতে কাটতে ডিজিটাল প্রেমকে হার মানিয়ে, এনালক ভাবে, কাবিন করে, অজানার উদ্যেশ্য পাড়ি জমিয়েছে, অবশেষে দুজনে।

স্থায়ীররা মনে করেন, তাদের প্রেম, রোমিও জুলিয়েট প্রেম কাহিনীকে হার মানিয়েছে। শত বাধাঁ থাকার সত্ত্বেও, দুজনের প্রেমে ছিল অটল। নিন্দুকদের চোখের জলে ভাসিয়ে, মাঝে মাঝে হাসিয়ে, আলোচনায় কাশিঁয়ে, তারা নতুন গন্তব্যে দিয়েছে পাড়ি। শুরু হয় তাদের পরকিয়া প্রেমের কানামাছি খেলা, চাচী- ভার্তিজার দুজনের ভালবাসায় ছিলনা কোন হেলা ফেলা। প্রতি রাতে কিংবা দিনে, গোপনে গোপনে চলে তাদের লেনাদেনা।

চাচী ও ভাতিজার ভালবাসার কাহিনী নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ভিন্ন মত তৈরি হয়েছে, বইছে আলোচনা ও সমালোচনা ঝড়। পুরো শাহবাজপুর ইউনিয়ন ও জামালপুর সদর জুড়ে বিরাজ করছে উত্তেজনা। তাদের প্রেমের কাহিনী বাংলা ছবিকে হার মানিয়েছে। তারা সাংবাদিক নিপুন জাকারিয়াকে আরো জানান- চাচী-ভার্তিজার প্রেম নিয়ে, এলাকাবাসীর মাঝে যেমন আনন্দ, ঠাট্রা ও রশিকতা বিরাজ করছে। তেমনি কেউ বলছে, একটি বাচ্চা থাকলেও সুবর্ণা এখনো রসে টয়টমভুর, এই বয়সেও ভার্তিজাকে দিয়ে, ক্লান্তি দূর করাতে বদ্ধ পরিকর। তাইতো হাজার যুবতী ভালবাসাকে দূরে রেখে, চাচীর মাঝে, পেয়েছে ভার্তিজাও আসল শান্তি।

কেউ বলছে, ভার্তিজা আসল হিরো, চাচাকে দিয়ে আসল সুখ পাইনি চাচী ছিল জিরো। কেউ বলেছে, জীবন মানে উপভোগ, তাই দূরে নয়, নিজ ঘরেই হোক ভালবাসা মহাসুখ। আবার কেউ কেউ বলছে, জীবন উপভোগ করতে বেছে নিচ্ছে পরকিয়া পথ। এমন ঘটনায় সমাজ ব্যবস্থা নৈতিক ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরো জানা যায়, শাহবাজপুর বাজারে কামরুল ট্রেডার্সের নামে স্বনামধন্য ধান ব্যবসায়ীর প্রথম কাতারে, সুলতান, খাদেম আলী ও কাওসার ব্যবসা পরিচালনা করেন। খাদেম ও সুলতান মুঠোফোনে জানান, টাকার কোন অভাব নেই, এমন কাজ করতেই পারে, ছয় লক্ষ টাকা রেডি, তাই কাউসারকে তেজপুত্র করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে। টাকাই সবকিছু উড়িয়ে দেব।

উক্ত ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে, ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী জানান, এটা হচ্ছে নৈতিক অবক্ষয়। আমি ঘটনাটা শুনেছি।

ইউপি সদস্য নার্গিস বেগম জানান, নিজের দায়িত্ব বোধ থেকে, বুজাতে চেষ্টা করেছি। আমার সামনে দিয়ে পারভেজের বউ, নিজের বউ দাবি করে নিয়ে গিয়েছে ভাতিজা কাউসার।

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, এমন ঘটনার পারিবারিক ভাবে মূল্যবোধ নষ্ট হচ্ছে। কোমলমতি ছেলে মেয়েদের মাঝে প্রেমের আগ্রহ বাড়ছে। এমন ঘটনার সমাজ ব্যবস্থার জন্য দুঃখ জনক।

সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করুন

2024 © banglardak.com